লক্ষ্মীপুরে গরুসহ ২ লাখ গবাদিপশুর মৃত্যু
ভয়াবহ বন্যার পানিতে লক্ষ্মীপুরে ২ লাখ গবাদিপশু মারা গেছে। গত ১৫ দিনে জেলার বিভিন্নস্থানে গরু-মোরগসহ এ গবাদিপশু মারা যায়। এতে খামারিসহ গৃহস্থদের মাথায় হাত পড়ছে। সরকারি হিসেবে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি বলা হলেও বেসরকারি সূত্রগুলোর ভাষ্যমতে, এর পরিমান অন্তত ১১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। চলমান এ বন্যায় আরো গবাদি পশু মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। এখনো ৫ লাখ ১১ হাজার ১১০ হাজার গবাদিপশু বন্যা কবলিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বন্যার অতিরিক্ত পানির কারণে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্নস্থানে খামার ও গৃহস্তের ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০টি মোরগ মারা গেছে। এছাড়া ৩৫ গরু, ১৭৫ ছাগল, ৯৭৫ হাঁস, ১৭ ভেড়া এবং মহিষ একটি মারা গেছে। সরকারি হিসেবে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ১৭৭ টি গবাদিপশু মারা যাওয়া তথ্য পাওয়া যায়। এতে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হয়।  তবে বেসরকারি একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছেন, এ সংখ্যা ২ লাখের কম নয়। নানা কারণে দুর্গম এলাকার সব তথ্য এতে যোগ হয়নি।

রায়পুরের উত্তর চরমোহনা গ্রামের খামারি মো. ইউনুস বলেন, এত পানি আমরা জীবনেও দেখিনি। দায়দেনা করে গরু লালন-পালন করেছি। বন্যার পানিতে আমার ৩টি বড় গরু মারা গেছে। এখন আমার কী হবে?

রামগঞ্জের নোয়াগাঁওর শৈরশৈই গ্রামের করিম হোসেন জানান, বন্যার পানিতে তার ২ হাজার ব্রয়লার মোরগ মারা গেছে। লোকসান গুনে তিনি এখন হতাশায় ভুগছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৩০৩ টি গবাদিপশুর খামার রয়েছে। বন্যা-জলবদ্ধতার কারণে অনেক গবাদিপশু মারা গিয়ে ক্ষতি হয়েছে। এ থেকে উত্তরণে মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছেন। এখনও ৫ লাখ ১১ হাজার ১১০ হাজার গবাদিপশু বন্যা কবলিত রয়েছে।

সূত্র: কালেরকন্ঠ

সর্বশেষ