ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে পরমাণু কর্মসূচিতে হামলার ঝুঁকিতে ইরান

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ-২’ পরিচালনা করে ইরান। যেখানে তারা ২০০টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের এই হামলা ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্র, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ছিল কঠোর এক বার্তা। যে কারণে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সন্দিহান পশ্চিমারা।

তবে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলার ঝুঁকি বাড়বে সেটা অনুমেয়। কেননা, নিজের প্রথম মেয়াদেও ইরানের ওপর নানা রকম বিধিনিষেধ জারি রেখেছিলেন ট্রাম্প। যে কারণে এখন নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সামরিক হামলার ঝুঁকি কমানোর উপায় খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান। এ ব্যাপারে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গেও বসছে তারা।

সম্প্রতি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে প্রতিরোধ কারার উপায় আছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে ইউরোপ। যা নিয়ে গত নভেম্বরেও ইরানের সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়েছে তাদের। এবার তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সোমবার নতুন করে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি।

কেননা, দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় বসতে যাওয়া ট্রাম্পের কাছে বৈদেশিক নীতির চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইরান ও তার পারমাণবিক কর্মসূচি। এ ব্যাপারে শুক্রবার সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান জিম রিশ বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের উপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করবে এবং আমেরিকান জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করবে।’

বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বিশ্বাস করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি মার্কিন বা ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা এখন আগের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আর এ ব্যাপারে কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ইরান ও তার পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তখন বলেছিলেন, ইরানকে পারমাণবিক বোমা অর্জন থেকে বিরত রাখার জন্য হামলার কথা বিবেচনা করবেন তিনি। সেই সঙ্গে তার দল তার প্রথম মেয়াদের মতো ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপের প্রচারণা পুনঃস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

এ ব্যাপারে জেনেভা গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ফারজেন সাবেত বলেন, ‘ট্রাম্পের অধীনে ইরানের উপর সরাসরি মার্কিন হামলা দেশটির পারমাণবিক ইতিহাসে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সম্ভাবনাময়।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ