বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩

 

সেখানে গিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হয়েছে। এটি অনেক ভোগান্তির বিষয়। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময়ে ডেভেলপার  কোম্পানিতে চাকরিরত থাকলেও আহত হওয়ার পর থেকে বেকার। ৪ মাস হলো বাড়িভাড়া দিতে পারছি না। দুইবেলা ডাল-ভাত জোটাও অনেক কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২২শে অক্টোবর জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নিজে ফরম জমা দিয়েছি। এখনো কোনো সাহায্য পাইনি। এখন পর্যন্ত অনেকবার ১৬০০০ নম্বরে ফোন দিয়েছি তারাও কোনো আপডেট দিচ্ছে না। আমার শারীরিক কন্ডিশন এতটাই খারাপ যে আমার পক্ষে বার বার ফাউন্ডেশনে যাওয়া সম্ভব না। আমার এ মুহূর্তে উন্নতি চিকিৎসার প্রয়োজন।

মোহাম্মদপুরের আরেক বাসিন্দা জিহাদুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনে দুই হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাইনি। জিহাদুল মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্বজন এবং আহতদের নিয়ে একটি সংগঠন গঠনের কাজ করছেন। কিন্তু এসব সংগঠন যেন না করা হয় সেজন্য একটি গ্রুপ তার ওপর চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ছাত্র আন্দোলনে আহত নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করা সুমন বলেন, আন্দোলনে হাঁটুর  গোড়ালিতে গুলি লাগে। প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাইনি। আহত হওয়ার পর চাকরিটা চলে যায়। ৩ মাসের বাসাভাড়া বাকি। দুই মাস আগে জুলাই ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে আসলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাননি বলে দাবি তার।

নুরেন্নাহার চিনু নামে মধ্যবয়সী এক নারী বলেন, আমার ছেলে আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। বার বার আশ্বাস পেলেও জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাইনি।

অভিযোগের বিষয়ে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ মিডিয়া অ্যান্ড পিআরও কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ‘এমআইএস’ ওয়েবসাটের মাধ্যমে আহতদের যে তালিকা করেছে সেটি ডিসি অফিস থেকে ভেরিফিকেশন করা হয়। কিন্তু ডিসি অফিসে ফ্যাসিস্টদের অনুসারী অনেক কর্মকর্তা সেটির মিসইউজ করছে। তাই আমরা এমআইএস ওয়েবসাইটকে প্রাইমারি সোর্স ধরে নিজেরা আবার ভেরিফিকেশন করে থাকি। মূলত ডাবল ভেরিফিকেশনের কারণে অনেকের ক্ষেত্রে সময় লাগছে। তিনি বলেন, শিগগিরই জুলাই ফাউন্ডেশনের সকল কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। আশা করছি তখন ভোগান্তি কমে আসবে।

অদক্ষ জনবলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে লোকবল নিয়ে থাকি। বর্তমানে ৩০ জনের মতো লোক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এত অল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে এ কাজ সম্পন্ন করা কঠিন। তবে জনবল বাড়ানো ও দক্ষতা বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি।

সর্বশেষ