Transparent, competitive NGO selection process essential for good governance : Rezaul Karim Chowdhury

Transparent, competitive NGO selection process essential for good governance : Rezaul Karim Chowdhury

Transparent, competitive NGO selection process essential for good governance : Rezaul Karim Chowdhury

 

Dhaka June 30 2022 :  

 

German donors has given a big fund to our nationally origin INGO to fund local NGOs for adaptation work in climate hotspots.

We have applied there during first quarter of 2021, after around 3 months after application, I have communicated my friend who have joined there as Chief, just wanted to know, what are the weakness that we have not been selected, he did not responded, recently I have raise the issue in a group mail, and he has shown some causes.

Due to our campaign in Coxsbazar on Rohingya response, Australian Aid, German and Canada govt. has given a fund to the same nationally origin INGO, they have given the fund to local NGOs in Coxsbazar, but there was nothing on circular etc. in this regard. We also applied to IRC and WFP long time ago, even we pleaded to them, to give a regret letter mentioning our weakness, so that we will be able improve our management in future, but it was in vain.

There are some agency especially Manusher Jonno Foundation (MJF), who maintain policy based transparent and competitive process, even they use local language for project submission. NGOs are happy in this regard. In general in whole sector, there are hardly any policy based transparent and competitive practice in this regard, what is happening, it is simply a cronyism and thus which are corruption. NGOs are part of the society, if they maintain democratic practice of transperencey and competitiveness, then it is also an impetus to promote democratic society.

I know why donors give such pooled fund through big nationally origin INGOs for disbursement, as they want strong fiduciary management, they do not want to take risks in this regard. But there are not only example of MJF, much more example could be created. I know the sincerity of international agencies for civil society development in Bangladesh, they have to understand that, civil society movement should not be monopolized, the national origin INGOs hardly have any civil society mobilization experience in this regard. Now the civil society movement have to be dispersed and decentralized.

No one can deny that, donors has a great role and contributions to promote democratic and human right based civil society in Bangladesh, so again, we request donor community and international agency to play the same role, they must ensure that their funding should be disbursed through a policy and criteria based selection process, which is transparent and competitive.

In this way, there will be a competition of good governance and effectivity among NGOs.

 

 

সুশাসনের সুবিধার্থে প্রয়োজন এনজিও অংশীদার নির্বাচনে স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া : রেজাউল করিম চৌধুরী

 

ঢাকা ৩০ জুন ২০২২ :

 

 

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কিছু এনজিওকে অর্থায়নের জন্য  বাংলাদেশের একটি বড় এনজিওকে বেশ বড়সড় একটি তহবিল দিয়েছে একটি জার্মান দাতা সংস্থা। 

আমরা ২০২১ সালের প্রথম দিকে সেই বড় এনজিওটির কাছে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু সেই আবেদনের ব্যাপারে আমরা কোন সাড়া পাইনি। আবেদনের প্রায় ৩ মাস পরে, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালনরত আমার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারি,  আমাদের সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু কেন সেই আবেদন গ্রহণ করা হলো না সেটা আমার সেই বন্ধু জানাননি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি আমি একটি গ্রুপ ইমেইলে বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি কিছু কারণ দেখিয়েছেন।

আমাদের নানা প্রচারণা কর্মসূচির ফলশ্রুতিতে রোহিঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়নে অস্ট্রেলিয়ান এইড,  জার্মান এবং কানাডা সরকার একই বড় এনজিওটিকে তহবিল দিয়েছে, সেই সংস্থাটি কক্সবাজারের বেশকিছু স্থানীয় এনজিওর মধ্যে সেই তহবিল বিতরণ করে। 

কিন্তু তহবিল বিতরণের এই পক্রিয়াটির ব্যাপারে কোনও ঘোষণা বা বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়নি। আমরা এর আগে দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছেও তহবিলের জন্য আবেদন করেছিলাম, সেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আমরা প্রত্যাখ্যানের কারণ বা আমাদের দুর্বলতাগুলো কী সেটা তাদেরকে জানানোর অনুরোধ করেছিলাম, যাতে আমরা আমাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারি। কিন্তু আমাদের সেই আবেদনে তারা সাড়া দেননি। দাতাসংস্থা বা কোন সংস্থার কাছ থেকে তহবিলের আবেদন করে তহবিল বা প্রকল্প না পেলেও আমাদের প্রস্তাবনার বিষয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানাটাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি, আমরা সেই পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুর্বলতা কাটিয়ে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি।        

বাংলাদেশে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) মতো কিছু সংস্থা আছে, যারা নীতি ভিত্তিক ও স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অংশীদার নির্বাচন করে থাকে।  এমনকি তারা প্রকল্প প্রস্তাবও জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষা, মানে বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করে। 

এনজিওগুলো এ বিষয়টিকে দারুণ ইতিবাচকভাবে নিয়ে থাকে। সাধারণভাবে, পুরো সেক্টরে,  এনজিও অংশীদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে নীতি ভিত্তিক, স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার প্রয়োগ খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। যা ঘটছে,  তাকে কেবল স্বজনপ্রীতিই বলা যেতে পারে,  এটা আসলে এক ধরনের দুর্নীতিই। 

আমি জানি দাতারা কেন বড় বড় আইএনজিও বা এনজিওর মাধ্যমে এই ধরনের বিশেষ তহবিল বিতরণ করতে চায়। তারা আসলে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত একটি ব্যবস্থাপনা চায়, অর্থ সহায়তার যথাযথ ব্যবহারে  তারা  কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না। কিন্তু এদেশে শুধু মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নয়,  এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে।

 বাংলাদেশে সুশীল সমাজের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আন্তরিকতার বিষয়ে আমি জানি,  তাদের বুঝতে হবে যে- সুশীল সমাজের আন্দোলনকে একপাক্ষিক বা একচেটিয়া করা উচিত নয়,  বাংলাদেশভিত্তিক আইএনজিওগুলোর এদেশে সুশীল সমাজের সাথে সুসম্পর্ক- সংহতির যথেষ্ট অভাব আছে, তাদেরকে জাতীয় সুশীল সমাজের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতেও খুব কম দেখা যায়। আমাদের এখন প্রয়োজন সুশীল সমাজ আন্দোলনকে চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া। 

এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে- বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার ভিত্তিক সুশীল সমাজ বিকাশে দাতাদের একটি বড় ভূমিকা এবং অবদান রয়েছে।  তাই আবারও, আমরা দাতাসংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে একই ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করছি,  তাদের অবশ্যই তাদের অর্থ সহায়তা একটি নীতি এবং মানদণ্ড ভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে, যা হবে স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক। এভাবে এনজিওগুলোর মধ্যে সুশাসন ও কার্যকারিতার প্রতিযোগিতা হবে।

আমরা আশা করি, বাংলাদেশের বড় এনজিওগুলো অংশীদার নির্বাচনের একটি স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নীতিমালা গ্রহণ করে এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে টেকসই স্থানীয় ও জাতীয় এনজিও ও সুশীল সমাজ সংগঠন বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।   

সর্বশেষ