বরিশাল ব্যুরো:-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিশু মুন্নার হত্যা ও তার পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাছ চোরদের দেখে ফেলায় শিশুকে চোরেরা হত্যার ভয়ে আতংকিত হয়ে মুন্নার মৃত্যু হয়। এঘটনা নিয়ে গত ৭ মার্চ এলাকায় শালীস বৈঠকে বসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে ১২জন আহত হয়। ওই শালীস-বৈঠকে হামলাকারী রফিকুল ইসলাম আজাদ হাওলাদার নিজের দোষ আড়ালের জন্য স্ত্রী শিল্পী বেগমকে বাদী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী করা হয় মৃত্যু মুন্নার পিতা নজরুল হাওলাদারকে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। মুন্না হত্যার বিচারদাবী করে ও তার পিতা নজরুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলার ২নং বাকাল ইউনিয়ন জনগনের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টায় আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বাকাল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মোড়ল’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক আল সজল আলাল, মৃত্যু শিশু মুন্নার মা মারুফা বেগম, ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা ইমরান হোসেন ফকির, যুবদল নেতা আলামিন আকন, নজরুলের চাচা জাফর হাওলাদার, বাকাল ইউনিয়ন তাতীদলের আহবায়ক সাইদুল খোন্দকারসহ শতাধিক ইউনিয়ন বাসী।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাকাল গ্রামের দিনমজুর নজরুল হাওলাদার ও মারুফা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে ছোট সন্তান মুন্না। ৩ রা মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় সাড়ে তিন বছরের শিশু মুন্নাকে ঘরে রেখে পুকুরের ঘাটে কাজ করতে যান তার মা মারুফা বেগম। ঘরে কেউ না থাকায় বিক্রির উদ্যোশ্যে ঘরে রাখা মাছ চুরি করতে যায় একই গ্রামের কালু খাঁনের ছেলে মাদকসেবী শাহিন খাঁন ও কমল রায়ের ছেলে মাদকসেবী কল্যাণ রায়। চুরি করার সময় চোরদের দেখে ফেলায় হত্যার ভয় দেখানো হয় ওই শিশুকে। এতেই শিশু মুন্না অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়।