গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ আ’লীগের ৪০ নেতাকর্মী গ্রেফতার

 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্য ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দল ও মহলের অবস্থানে রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশ আবার সংঘাতময় হয়ে উঠে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত দেশের জনগণ।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। বরং তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে, কোনো বিশেষ কারণে দুই দলই সরকারকে রুষ্ট করতে চাইছে না।
কে সতর্ক অবস্থান নেয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশিও চালানো হয়।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্য ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দল ও মহলের অবস্থানে রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশ আবার সংঘাতময় হয়ে উঠে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত দেশের জনগণ।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। বরং তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে, কোনো বিশেষ কারণে দুই দলই সরকারকে রুষ্ট করতে চাইছে না।

উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান—দুজনই কৌশলে বলেছেন, তাঁরা দেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চান না।

অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে। আর এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করার সুযোগ নেই। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।

’রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একদিকে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। কারো মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরকারের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে দেবে এই সিদ্ধান্ত দেশে স্থিতিশীলতা আনবে নাকি নতুন সংঘাতের জন্ম দেবে।

বিভিন্ন দলের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা প্রভাবশালী বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলো কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। ওই দেশগুলোর এই অবস্থান বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর এক ধরনের চাপ।

যেহেতু এই দুই দলই ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি করে তাই তাদের পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চলতে হয়। তাই বিদেশিদের চাওয়া সব সময় তাদের উপেক্ষা করা সম্ভব হয় না।বিভিন্ন মহলের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে। কারণ এই বছরের মধ্যে নির্বাচন করার পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক দল ও মহল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টের ঘটনাগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনেও কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার। তবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার চলবে এবং তাঁরা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সম্ভাব্য অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। তবে এটি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর ‘পরিকল্পনা’ চলছে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে ‘আসন ভাগের’ প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে কোন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে, তা তুলে ধরেছেন তিনি। আওয়ামী লীগকে ফেরানোর এই পরিকল্পনা ভারতের বলেও দাবি করেন হাসনাত।

এর আগে বিভিন্ন সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন।

তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যাঁরা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন সময়ে বিগত ফ্যাসিবাদের সময়ে জনগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই এখন পলাতক অবস্থায় আছেন। গণহত্যার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বিধায় তাঁরা পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন।’

এরই মধ্যে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগ করেছেন, কিন্তু কোনো প্রকার অন্যায় এবং গণহত্যা কিংবা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁরা ক্ষমা চেয়ে আবার মূল ধারায় (মেইনস্ট্রিম) স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন এবং সেই জায়গা থেকে যদি কেউ নির্বাচন করেন, তাতেও কোনো বাধা নেই। কিন্তু কেউ যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তো কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে পারবেন না।’

সংস্কারের কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হোক—এটি চায় না বিএনপি। দলটি যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে আসছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি চায়, গণপরিষদ নির্বাচন।

এরই মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি কৌশল হতে পারে। সরকারের এই অবস্থান হয়তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার জন্য। তারা চায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করেও রাজনৈতিক মেরুকরণ বজায় রাখতে।

বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে।

 

0.00

0.00%
1STPRIMFMF
22.20

0.20

0.91%
AAMRANET
23.00

0.00

0.00%
AAMRATECH
14.50

-0.50

-3.33%
ABB1STMF
3.80

0.20

5.56%
ABBANK
7.30

0.00

0.00%
ACFL
18.10

-0.20

-1.09%
ACI
173.80

3.10

1.82%
ACIFORMULA
125.50

0.10

0.08%
ACMELAB
73.70

0.60

0.82%
ACMEPL
16.00

1.00

6.67%
ACTIVEFINE
9.90

0.10

1.02%
ADNTEL
84.10

0.60

0.72%
ADVENT
16.60

0.00

0.00%
AFCAGRO
10.20

0.20

2.00%
AFTABAUTO
34.00

1.60

4.94%
AGNISYSL
27.70

0.70

2.59%
AGRANINS
25.00

0

22.90

-0.50

-2.14%
ALIF
7.00

0.00

0.00%
ALLTEX
12.60

-0.10

-0.79%
AMANFEED
27.00

0.50

1.89%
AMBEEPHA
761.60

-15.10

-1.94%
AMCL(PRAN)
200.40

-0.20

-0.10%
ANLIMAYARN
23.30

-0.40

-1.69%
ANWARGALV
68.10

-0.60

-0.87%
AOL
15.80

-0.10

-0.63%
APEXFOODS
203.10

-1.30

-0.64%
APEXFOOT
204.40

-0.40

-0.20%
APEXSPINN
95.40

0.10

0.10%
APEXTANRY
66.60

-1.20

-1.77%
APOLOISPAT
3.90

-0.10

-2.50%
ARAMIT
164.40

-2.30

-1.38%
ARAMITCEM
15.30

-0.30

-1.92%
ARGONDENIM
17.20

0.20

1.18%
ASIAINS
27.30

-0.50

-1.80%
ASIAPACINS
29.80

-0.30

-1.00%
ATLASBANG
49.30

0.00

0.00%
AZIZPIPES
51.90

0.00

0.00%
BANGAS
95.80

0.50

0.52%
BANKASIA
16.90

0.10

0.60%
BARKAPOWER
10.30

0.10

0.98%
BATASHOE
825.00

-2.70

-0.33%
BATBC
324.20

-0.50

-0.15%
BAYLEASING
6.30

0.20

3.28%
BBS
13.00

0.60

4.84%
BBSCABLES
19.20

0.60

3.23%
BDAUTOCA
93.00

-0.50

-0.53%
BDCOM
25.50

0.80

3.24%
BDFINANCE
13.00

0.30

2.36%
BDLAMPS
117.00

-0.70

-0.59%
BDTHAI
16.60

-0.20

-1.19%
BDWELDING
11.40

-0.40

-3.39%
BEACHHATCH
114.90

-2.00

-1.71%
BEACONPHAR
124.30

-0.20

-0.16%
BENGALWTL
20.30

-0.60

-2.87%
BERGERPBL
1770.0
73.40

0.50

0.69%
BSRMSTEEL
50.60

-0.20

-0.39%
BXPHARMA
87.20

4.20

5.06%
CAPMBDBLMF
8.50

0.00

0.00%
CAPMIBBLMF
8.10

-0.10

-1.22%
CENTRALINS
35.30

-0.30

-0.84%
CENTRALPHL
12.20

-0.20

-1.61%
CITYBANK
22.70

-0.10

-0.44%
CITYGENINS
36.00

-0.80

-2.17%
CNATEX
4.10

0.00

0.00%
CONFIDCEM
51.40

0.10

0.19%
CONTININS
25.60

-0.60

-2.29%
COPPERTECH
21.20

0.40

1.92%
CRYSTALINS
46.00

-0.20

-0.43%
CVOPRL
131.90

0.10

0.08%
DACCADYE
16.90

-0.20

-1.17%
DAFODILCOM
65.00

1.80

2.85%
DBH
35.70

0.00

0.00%
DBH1STMF
4.80

0.40

9.09%
DELTALIFE
75.30

1.10

1.48%
DELTASPINN
6.30

0.00

0.00%
DESCO
24.40

-0.20

-0.81%
DESHBANDHU
23.30

0.70

3.10%
DGIC
22.30

-0.60

-2.62%
DHAKABANK
11.00

0.00

0.00%
DHAKAINS
36.70

0.20

0.55%
DOMINAGE
12.50

0.50

4.17%
DOREENPWR
21.20

0.20

0.95%
DSHGARME
73.30

-0.40

-0.54%
DSSL
11.70

-0.10

-0.85%
DULAMIACOT
74.00

-1.00

-1.33%
DUTCHBANGL
50.90

0.00

0.00%
EASTERNINS
45.50

0.00

0.00%
EASTLAND
18.10

-0.20

-1.09%
EASTRNLUB
1800.90

95.90

5.62%
EBL
26.00

0.10

0.39%
EBL1STMF
6.30

-0.70

-10.00%
EBLNRBMF
3.60

-0.20

-5.26%
ECABLES
103.40

0.10

0.10%
EGEN
24.00

0.40

1.69%
EHL
74.40

-1.50

-1.98%
EIL
51.70

-0.30

-0.58%
EMERALDOIL
23.30

-0.10

-0.43%
ENVOYTEX
43.30

0.60

1.41%
EPGL
22.50

0.40

1.81%
ESQUIRENIT
25.00

0.10

0.40%
ETL
10.80

-0.30

-2.70%
EXIM1STMF
3.30

-0.10

-2.94%
EXIMBANK
6.60

0.00

0.00%
FAMILYTEX
2.60

0.10

4.00%
FARCHEM
24.00

0.00

0.00%
FAREASTFIN
3.30

0.00

0.00%
FAREASTLIF
34.20

0.70

2.09%
FASFIN
3.40

0.00

0.00%
FBFIF
3.20

-0.10

-3.03%
FEDERALINS
17.80

-0.20

-1.11%
FEKDIL
17.70

-0.10

-0.56%
FINEFOODS
193.20

6.40

3.43%
FIRSTFIN
3.60

0.10

2.86%
FIRSTSBANK
4.70

-0.10

-2.08%
FORTUNE
18.70

0.20

1.08%
FUWANGCER
15.50

-0.40

-2.52%
FUWANGFOOD
17.40

-0.60

-3.33%
GBBPOWER
7.80

0.20

2.63%
GEMINISEA
150.60

1.60

1.07%
GENEXIL
25.40

0.30

1.20%
GENNEXT
3.10

0.00

0.00%
GHAIL
15.10

-0.10

-0.66%
GHCL
22.30

0.50

2.29%
GLOBALINS
26.50

-1.00

-3.64%
GOLDENSON
15.00

0.30

2.04%
GP
319.60

-0.10

-0.03%
GPHISPAT
21.70

0.60

2.84%
GQBALLPEN
156.90

-0.30

-0.19%
GRAMEENS2
13.10

-0.20

-1.50%
GREENDELMF
3.60

-0.20

-5.26%
GREENDELT
43.80

-0.10

-0.23%
GSPFINANCE
6.00

0.10

1.69%
HAKKANIPUL
67.60

-3.40

-4.79%
HEIDELBCEM
210.30

-0.10

-0.05%
HFL
10.90

0.00

0.00%
HRTEX
37.70

-0.90

-2.33%
HWAWELLTEX
41.40

0.00

0.00%
IBNSINA
290.50

-0.10

-0.03%
IBP
13.30

0.30

2.31%
ICB
52.10

2.30

4.62%
ICB3RDNRB
4.40

0.00

0.00%
ICBAGRANI1
6.80

0.00

0.00%
ICBAMCL2ND
6.20

0.00

0.00%
ICBEPMF1S1
5.10

-0.20

-3.77%
ICBIBANK
3.00

0.10

3.45%
ICBSONALI1
5.90

-0.10

-1.67%
IDLC
31.20

0.40

1.30%
IFADAUTOS
24.30

0.30

1.25%
IFIC
7.10

-0.10

-1.39%
IFIC1STMF
3.30

0.00

0.00%
IFILISLMF1
4.30

-0.10

-2.27%
ILFSL
3.60

0.00

0.00%
INDEXAGRO
66.20

-0.50

-0.75%
INTECH
23.50

0.40

1.73%
INTRACO
24.90

-0.40

-1.58%
IPDC
17.30

0.10

0.58%
ISLAMIBANK
43.30

-0.20

-0.46%
ISLAMICFIN
11.10

0.30

2.78%
ISLAMIINS
37.30

-0.20

-0.53%
ISNLTD
41.40

0.80

1.97%
ITC
37.40

0.00

0.00%
JAMUNABANK
19.30

-0.10

-0.52%
JAMUNAOIL
175.30

0.10

0.06%
JANATAINS
25.40

-0.40

-1.55%
JMISMDL
134.20

0.40

0.30%
JUTESPINN
206.20

-5.40

-2.55%
KARNAPHULI
27.80

-0.30

-1.07%
KAY&QUE
201.00

-0.10

-0.05%
KBPPWBIL
161.80

0.00

0.00%
KDSALTD
43.90

1.60

3.78%
KEYACOSMET
4.60

-0.10

-2.13%
KOHINOOR
505.10

-2.10

-0.41%
KPCL
12.90

0.10

0.78%
KPPL
25.80

0.40

1.57%
KTL
14.50

-0.60

-3.97%
LANKABAFIN
17.30

0.40

2.37%
LEGACYFOOT
59.30

-1.10

-1.82%
LIBRAINFU
790.00

0.70

0.09%
LINDEBD
939.70

2.30

0.25%
LOVELLO
82.90

-1.30

-1.54%
LRBDL
15.40

0.10

0.65%
LRGLOBMF1
3.40

-0.10

-2.86%
MAKSONSPIN
7.00

0.00

0.00%
MALEKSPIN
25.30

-0.10

-0.39%
MARICO
2388.00

2.80

0.12%
MATINSPINN
45.40

0.70

1.57%
MBL1STMF
4.30

-0.10

-2.27%
MEGCONMILK
24.60

-0.60

-2.38%
MEGHNACEM
44.80

0.50

1.13%
MEGHNALIFE
52.30

0.30

0.58%
MEGHNAPET
26.70

0.00

0.00%
MERCANBANK
10.20

-0.10

-0.97%
MERCINS
24.30

0.00

0.00%
METROSPIN
13.60

0.00

0.00%
MHSML
16.40

-0.40

-2.38%
MIDASFIN
9.40

0.80

9.30%
MIRACLEIND
31.20

0.20

0.65%
MIRAKHTER
34.80

-0.10

-0.29%
MITHUNKNIT
14.80

0.40

2.78%
MJLBD
93.80

0.10

0.11%
MLDYEING
10.70

-0.30

-2.73%
MONNOAGML
314.40

-1.10

-0.35%
MONNOCERA
86.20

-1.50

-1.71%
MONNOFABR
16.60

-0.40

-2.35%
MONOSPOOL
101.00

-0.40

-0.39%
MPETROLEUM
205.80

0.00

0.00%
MTB
12.30

-0.10

-0.81%
NAHEEACP
23.50

0.80

3.52%
NATLIFEINS
93.00

-0.80

-0.85%
NAVANACNG
21.20

0.00

0.00%
NBL
4.00

-0.10

-2.44%
NCCBANK
10.60

-0.10

-0.93%
NCCBLMF1
5.30

-0.10

-1.85%
NEWLINE
10.10

0.20

2.02%
NFML
8.90

0.20

2.30%
NHFIL
27.30

0.80

3.02%
NITOLINS
25.10

0.00

0.00%
NORTHERN
108.10

-2.40

-2.17%
NORTHRNINS
27.60

-1.10

-3.83%
NPOLYMER
31.50

0.20

0.64%
NRBCBANK
8.20

0.00

0.00%
NTC
176.00

-0.90

-0.51%
NTLTUBES
79.50

0.00

0.00%
NURANI
3.80

0.00

0.00%
OAL
8.40

0.00

0.00%
OIMEX
27.40

0.50

1.86%
OLYMPIC
146.00

-0.60

-0.41%
ORIONINFU
390.70

-10.60

-2.64%
ORIONPHARM
30.70

-0.20

-0.65%
PADMALIFE
24.10

2.10

9.55%
PADMAOIL
181.20

-0.90

-0.49%
PARAMOUNT
39.00

-2.20

-5.34%
PDL
7.30

-0.20

-2.67%
PENINSULA
11.80

-0.10

-0.84%
PEOPLESINS
28.70

0.10

0.35%
PF1STMF
5.30

-0.10

-1.85%
PHARMAID
529.90

3.80

0.72%
PHENIXINS
25.90

-0.10

-0.38%
PHOENIXFIN
4.20

0.20

5.00%
PHPMF1
3.30

0.00

0.00%
PIONEERINS
43.80

-0.10

-0.23%
PLFSL
2.40

0.00

0.00%
POPULAR1MF
3.20

0.00

0.00%
POPULARLIF
50.90

0.20

0.39%
POWERGRID
36.30

0.50

1.40%
PRAGATIINS
51.50

-0.30

-0.58%
PRAGATILIF
106.70

-0.80

-0.74%
PREMIERBAN
9.00

0.00

0.00%
PREMIERCEM
54.10

1.20

2.27%
PREMIERLEA
3.40

-0.10

-2.86%
PRIME1ICBA
4.60

-0.10

-2.13%
PRIMEBANK
24.20

-0.10

-0.41%
PRIMEFIN
4.60

0.00

0.00%
PRIMEINSUR
32.10

0.00

0.00%
PRIMELIFE
41.40

-0.50

-1.19%
PRIMETEX
15.10

0.20

1.34%
PROGRESLIF
63.50

5.70

9.86%
PROVATIINS
32.00

-0.70

-2.14%
PTL
47.00

0.10

0.21%
PUBALIBANK
29.10

0.00

0.00%
PURABIGEN
18.70

-0.10

-0.53%
QUASEMIND
32.30

0.30

0.94%
QUEENSOUTH
13.70

-0.10

-0.72%
RAHIMAFOOD
78.70

-0.40

-0.51%
RAHIMTEXT
113.70

-0.40

-0.35%
RAKCERAMIC
22.70

0.00

0.00%
RANFOUNDRY
140.80

0.50

0.36%
RDFOOD
25.60

0.10

0.39%
RECKITTBEN
3910.10

-25.50

-0.65%
REGENTTEX
4.00

0.00

0.00%
RELIANCE1
21.20

0.50

2.42%
RELIANCINS
53.60

0.10

0.19%
RENATA
503.40

-0.70

-0.14%
RENWICKJA
620.20

-2.60

-0.42%
REPUBLIC
29.20

0.40

1.39%
RINGSHINE
3.90

0.10

2.63%
ROBI
26.00

-0.20

-0.76%
RSRMSTEEL
12.80

-0.50

-3.76%
RUNNERAUTO
27.30

0.50

1.87%
RUPALIBANK
21.80

0.20

0.93%
RUPALIINS
21.40

-0.20

-0.93%
RUPALILIFE
90.50

-1.70

-1.84%
SAFKOSPINN
13.00

-0.20

-1.52%
SAIFPOWER
11.80

0.10

0.85%
SAIHAMCOT
15.00

0.20

1.35%
SAIHAMTEX
15.20

0.20

1.33%
SALAMCRST
31.50

1.20

3.96%
SALVOCHEM
25.20

-0.40

-1.56%
SAMATALETH
44.90

-0.60

-1.32%
SAMORITA
56.80

-0.10

-0.18%
SANDHANINS
22.40

0.60

2.75%
SAPORTL
23.50

1.50

6.82%
SBACBANK
8.60

-0.10

-1.15%
SEAPEARL
39.10

-0.80

-2.01%
SEMLFBSLGF
4.70

0.00

0.00%
SEMLIBBLSF
6.50

0.00

0.00%
SEMLLECMF
7.70

0.30

4.05%
SHAHJABANK
18.20

-0.30

-1.62%
SHASHADNIM
18.70

0.00

0.00%
SHEPHERD
18.00

-0.20

-1.10%
SHURWID
8.10

-0.10

-1.22%
SHYAMPSUG
125.60

0.80

0.64%
SIBL
9.90

0.10

1.02%
SILCOPHL
16.70

0.60

3.73%
SILVAPHL
12.20

0.10

0.83%
SIMTEX
19.70

0.10

0.51%
SINGERBD
108.50

-0.10

-0.09%
SINOBANGLA
48.10

-0.80

-1.64%
SKTRIMS
13.90

0.10

0.72%
SONALIANSH
191.80

-0.80

-0.42%
SONALILIFE
51.40

0.50

0.98%
SONALIPAPR
151.70

-0.60

-0.39%
SONARBAINS
23.80

-0.10

-0.42%
SONARGAON
42.30

-0.80

-1.86%
SOUTHEASTB
9.80

-0.10

-1.01%
SPCERAMICS
25.20

0.50

2.02%
SPCL
31.90

-0.30

-0.93%
SQUARETEXT
51.20

-0.10

-0.19%
SQURPHARMA
220.10

-0.30

-0.14%
SSSTEEL
8.20

0.00

0.00%
STANCERAM
64.90

0.30

0.46%
STANDARINS
33.80

0.30

0.90%
STANDBANKL
5.90

-0.10

-1.67%
STYLECRAFT
62.10

0.50

0.81%
SUMITPOWER
15.70

0.90

6.08%
SUNLIFEINS
65.70

0.00

0.00%
TAKAFULINS
33.50

-0.50

-1.47%
TALLUSPIN
5.70

0.10

1.79%
TAMIJTEX
106.60

0.00

0.00%
TITASGAS
20.70

-0.20

-0.96%
TOSRIFA
23.20

0.10

0.43%
TRUSTB1MF
3.60

0.00

0.00%
TRUSTBANK
22.10

0.00

0.00%
TUNGHAI
2.90

0.00

0.00%
UCB
12.1
-কে সতর্ক অবস্থান নেয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশিও চালানো হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্য ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দল ও মহলের অবস্থানে রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশ আবার সংঘাতময় হয়ে উঠে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত দেশের জনগণ।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। বরং তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে, কোনো বিশেষ কারণে দুই দলই সরকারকে রুষ্ট করতে চাইছে না।

উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান—দুজনই কৌশলে বলেছেন, তাঁরা দেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চান না।

অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে। আর এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করার সুযোগ নেই। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।

’রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একদিকে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। কারো মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরকারের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে দেবে এই সিদ্ধান্ত দেশে স্থিতিশীলতা আনবে নাকি নতুন সংঘাতের জন্ম দেবে।

বিভিন্ন দলের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা প্রভাবশালী বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলো কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। ওই দেশগুলোর এই অবস্থান বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর এক ধরনের চাপ।

যেহেতু এই দুই দলই ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি করে তাই তাদের পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে চলতে হয়। তাই বিদেশিদের চাওয়া সব সময় তাদের উপেক্ষা করা সম্ভব হয় না।বিভিন্ন মহলের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে। কারণ এই বছরের মধ্যে নির্বাচন করার পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক দল ও মহল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টের ঘটনাগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনেও কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার। তবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার চলবে এবং তাঁরা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সম্ভাব্য অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। তবে এটি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর ‘পরিকল্পনা’ চলছে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে ‘আসন ভাগের’ প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে কোন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে, তা তুলে ধরেছেন তিনি। আওয়ামী লীগকে ফেরানোর এই পরিকল্পনা ভারতের বলেও দাবি করেন হাসনাত।

এর আগে বিভিন্ন সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন।

তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যাঁরা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন সময়ে বিগত ফ্যাসিবাদের সময়ে জনগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই এখন পলাতক অবস্থায় আছেন। গণহত্যার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বিধায় তাঁরা পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন।’

এরই মধ্যে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগ করেছেন, কিন্তু কোনো প্রকার অন্যায় এবং গণহত্যা কিংবা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁরা ক্ষমা চেয়ে আবার মূল ধারায় (মেইনস্ট্রিম) স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন এবং সেই জায়গা থেকে যদি কেউ নির্বাচন করেন, তাতেও কোনো বাধা নেই। কিন্তু কেউ যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তো কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে পারবেন না।’

সংস্কারের কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হোক—এটি চায় না বিএনপি। দলটি যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে আসছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি চায়, গণপরিষদ নির্বাচন।

এরই মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি কৌশল হতে পারে। সরকারের এই অবস্থান হয়তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার জন্য। তারা চায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করেও রাজনৈতিক মেরুকরণ বজায় রাখতে।

বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে।

সর্বশেষ